দারিদ্র্য বিমোচন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রাপ্ত একটি কার্যক্রম। এই কার্যক্রমকে সফলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় সংসদে গৃহীত আইনের মাধ্যমে “পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)” প্রতিষ্ঠা করা হয়। পিডিবিএফ একটি সংবিদিবদ্ধ, স্ব-শাসিত, অমুনাফাকাঙ্ক্ষী, আত্মনির্ভরশীল, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
পিডিবিএফ সৃষ্টির গোড়ায় ছিল আরডি-২ আরপিপি, আরডি-১২ প্রকল্প এবং পল্লী বিত্তহীন কর্মসূচী। ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কানাডিয়ান সিডার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে আসছিল। সরকারী সেক্টরে এগুলিই সর্বপ্রথম বিত্তহীন কল্যাণ প্রোগ্রাম যা পরবর্তীতে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) নামে একটি স্বশাসিত স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।
মাইক্রোফাইনেন্স আন্দোলনে দেখানো হয়েছে যে আর্থিক পন্য তাদের কিছু চাহিদা প্রদান করলেও একটি সমৃদ্ধ বাজার দারিদ্র্যের ভিতর আছে। দরিদ্ররা যে কোন অথনীতিতে একটি সক্রিয় গ্রুপ। পিডিবিএফ দেখিযেছে যে তাদের চাহিদা পূরন করানোর পাশাপাশি সহায়ক প্রতিষ্ঠান লাভবান ও হতে পারে। পিডিবিএফ ক্ষুদ্র ঋন এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋন (SELP) পরিচালনা করে যাতে করে গ্রামীন বঞ্চিত মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস